আমার সালাম নিবেন। আশা করি আপনারা সকলে ভাল আছেন। আর আমিও আপনাদের দোয়া নিয়ে ভাল আছি। আজ আমি আপনাদের স্যামসাং এর স্মার্টফোন নিয়ে হাজির হয়েছি। এখানে আপনারা দেখতে পাবেন। ফোনটি তে কি কি ধরনের সুবিধা সহ সকল বিষয় জানতে পারবেন। তো আর দেরি নয় এবার ফিরে আসি আলোচনায়। তো শুরু করা যাক।
স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্যামসাং এখন পর্যন্ত তাদের তৈরি সবচেয়ে পাতলা স্মার্টফোন তৈরি করেছে। ৫.৯ মিলিমিটার পুরু স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৮ পুরুত্বের দিক থেকে গ্যালাক্সি এস ৬ এজের ৮৫ শতাংশেরও কম। এমন পাতলা গড়ন হওয়ার পরেও স্মার্টফোনটিতে ৩ হাজার ৫০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি ও ১৬ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা যোগ করা হয়েছে। আপাতত শুধু চীন ও সিঙ্গাপুরের বাজারে ছাড়া হবে গ্যালাক্সি এ৮।
ইন্টারন্যাশনাল ডেটা করপোরেশনের (আইডিসি) প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীনের স্মার্টফোন বাজারে গত ছয় বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ২০১৪ সালের প্রথম তিন মাসের তুলনায় ২০১৫ সালের প্রথম তিন মাসে ৪ শতাংশ বাজার সংকোচন দেখা গেছে। স্যামসাংয়ের অবস্থা আরও ভয়াবহ, একই মেয়াদকালে চীনে প্রতিষ্ঠানটির স্মার্টফোন বিক্রি কমেছে ৫৩ শতাংশ। চীনের বাজারে আরও শক্ত অবস্থানের জন্যই হয়তো প্রতিষ্ঠানটির নতুন এই বাজার-নির্ভর স্মার্টফোন বাজারে ছাড়া।
অন্যান্য চীনা স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো অবশ্য এর চেয়েও পাতলা স্মার্টফোন বাজারে ছেড়েছে। ৪.৭৫ মিলিমিটারের ভিভো এক্স ৫ ম্যাক্স কিংবা ৪.৮৫ মিলিমিটারের ওপ্পো আর ৫ এখানে উল্লেখ করার মতো। আর তা ছাড়া চীনা প্রতিদ্বন্দ্বীদের একই মানের স্মার্টফোনগুলোর তুলনায় গ্যালাক্সি এ৮-এর মূল্য ঢের বেশি। স্মার্টফোনটি কিনতে বেরিয়ে যাবে ৩ হাজার ২০০ ইউয়ান।
পাতলা স্মার্টফোন তৈরিতে একটা ঝুঁকি কিন্তু থেকেই যায়। পকেটে রাখলে হয়তো বেঁকে যেতে পারে। আর তাই গ্যালাক্সি এ৮-এ ব্যবহার করা হয়েছে ধাতব কাঠামো। ৫.৭ ইঞ্চি স্পর্শকাতর পর্দার স্মার্টফোনটিতে আরও থাকছে আঙুলের ছাপ শনাক্ত করার প্রযুক্তি। তবে এরই মধ্যে এক বিশেষজ্ঞ প্রশ্ন ছুড়েছেন, স্মার্টফোন এত পাতলা হওয়ার দরকারটা কী? টেলিযোগাযোগ পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান সিসিএস ইনসাইটের প্রধান গবেষক বেন উড অবশ্য একটা উত্তর দাঁড় করেছেন, ‘মানুষের ধারণা পাতলা মানেই ভালো ফোন, আর তাই নির্মাতারা পাতলা স্মার্টফোন তৈরিতে একরকম উঠেপড়ে লেগেছেন।’
পাতলা স্মার্টফোনের ব্যাটারির আয়ু সাধারণত কম হয়, টেনেটুনে এক দিন যায় কি যায় না। তাই বিপরীত দিকটাও উল্লেখ করতে ভোলেননি বেন উড। বলেন, ‘আমার মনে হয় আমরা শেষ সীমায় পৌঁছেছি। ভবিষ্যতে কিছুটা পুরু তবে দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারির স্মার্টফোনের চল শুরু হতে পারে।’
সূত্র: প্রথম আলো
0 comments:
Post a Comment