বিশ্বের প্রত্যন্ত ও ইন্টারনেট সুবিধাবঞ্চিত অঞ্চলের মানুষকে ইন্টারনেট সুবিধার আওতায় আনতে ড্রোন বা চালকবিহীন বিমানের সাহায্যে ইন্টারনেট সুবিধা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে ফেসবুক। এ ধরনের ড্রোন থেকে ৯০ হাজার ফুট উঁচু থেকে লেজার বিমের মাধ্যমে ইন্টারনেট সুবিধা পাওয়া যাবে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলছে, এই চালকবিহীন বিমান দিয়ে ইন্টারনেট সুবিধা চালু করার প্রক্রিয়াটি পরীক্ষামূলক পর্যায়ে চলে এসেছে। এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ফেসবুকের দাবি, তাদের অ্যাকুইলা ড্রোনের পাখার দৈর্ঘ্য বোয়িং ৭৩৭ এর চেয়ে বেশি। এর ওজন একটি ছোট গাড়ির চেয়েও কম। এক টানা তিন মাসেরও বেশি সময় এটি সৌরশক্তির সাহায্যে ৬০ থেকে ৯০ হাজার ফুট পর্যন্ত আকাশে উড়তে পারে।
ফেসবুকের প্রধান কার্যালয় ক্যালিফোর্নিয়ার এক সম্মেলনে ফেসবুকের ড্রোন প্রকল্পের প্রকৌশল পরিচালক ইয়েল ম্যাগুয়ার বলেন, লেজার বিমের মাধ্যমে উচ্চ গতির তথ্য সংযোগের ক্ষেত্রে তারা বিশেষ একটি মাইলফলক ছুঁতে পেরেছেন যা বর্তমান সময়ে অধিকাংশ ইন্টারনেটের গতির চেয়ে বেশি। যে সব অঞ্চলে ইন্টারনেট প্রয়োজন সেখানে এই ড্রোন এনে ইন্টারনেট সুবিধা দেওয়া যাবে।
ফেসবুকের গ্লোবাল প্রকৌশল ও অবকাঠামোর প্রকল্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে পারিখ এক ব্লগ পোস্টে জানিয়েছেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে নতুন ধরনের প্রযুক্তির উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করা যাতে ইন্টারনেট অবকাঠামোর বাস্তবায়নের ফলে অর্থনীতিতে দ্রুত পরিবর্তন আসতে পারে। আমার এই চ্যালেঞ্জ নিতে কয়েকটি ভিন্নধর্মী পদক্ষেপ নিয়ে এগোচ্ছি যার মধ্যে রয়েছে ড্রোন, কৃত্রিম উপগ্রহ ও মহাকাশ থেকে ইন্টারনেটের সুবিধা।
ফেসবুক প্রকৌশলীদের এই মন্তব্য শুনলে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠবে যে, ফেসবুক কী তবে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হতে যাচ্ছে? ফেসবুকের কর্মকর্তারা বলছেন, ইন্টারনেটে সেবাদাতা বা টেলিকম অপারেটর হওয়ার কোনো লক্ষ্য নেই ফেসবুকের। বরং অন্যান্য অপারেটরদের বা ফেসবুকের সহযোগীদের কাছে প্রযুক্তি সুবিধা পৌঁছে দিতেই এই লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে ফেসবুক।
পারিখ বলেন, অ্যাকুইলা ড্রোন তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। যুক্তরাজ্যের আকাশে এটি এখন পরীক্ষা করে দেখার জন্য প্রস্তুত। এই ড্রোন থেকে যে লেজার রশ্মি ফেলা হবে তা ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ইন্টারনেট সুবিধার আওতায় আনতে পারবে। এই লেজার পদ্ধতিটি ইতিমধ্যে পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে এবং তা সফল হয়েছে।
পারিখ দাবি করেন, ফেসবুকের ড্রোন প্রকল্প সফল হলে তাতে আকাশে এ ধরনের ড্রোনের একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করা যাবে এবং তা দিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট সুবিধা দেওয়া সম্ভব হবে।
এ প্রকল্পটি কার্যকর হবে এমন দাবি করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিশ্বের ১০ শতাংশের বেশি মানুষ ইন্টারনেট অবকাঠামো বঞ্চিত প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাস করছে। এসব অঞ্চলে তার টানা বা প্রচলিত পদ্ধতিতে নেটওয়ার্ক টাওয়ার স্থাপন ব্যয়বহুল।
ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ অ্যাকুইলা নিয়ে ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন যাতে অনেকে লাইক দিয়েছেন, মন্তব্য করেছেন। জাকারবার্গ লিখেছেন, তাঁর টিম প্রথম পরিপূর্ণ অ্যাকুইলা ড্রোন তৈরি করায় তিনি রোমাঞ্চিত। জাকারবার্গের এই ভিডিও পোস্ট করার পর এ নিয়ে যেমন অনেকে প্রশংসা করেছেন তেমনি অনেকে এর অপব্যবহার নিয়ে আশঙ্কার কথাও জানিয়েছেন। এই ড্রোন নজরদারিতে কিংবা কম্পিউটারে ক্ষতিকর ভাইরাস ছড়াতেও ব্যবহার হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন অনেকেই।
ফেসবুকের কানেকটিভিটি ল্যাব এই ড্রোন প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত। কানেকটিভিটি ল্যাব হচ্ছে ফেসবুক গৃহীত মানুষকে বিনা মূল্যে ইন্টারনেট সুবিধা দেওয়ার প্রকল্প ইন্টারনেট ডট ওআরজির একটি অংশ।
ফেসবুকের প্রধান কার্যালয় ক্যালিফোর্নিয়ার এক সম্মেলনে ফেসবুকের ড্রোন প্রকল্পের প্রকৌশল পরিচালক ইয়েল ম্যাগুয়ার বলেন, লেজার বিমের মাধ্যমে উচ্চ গতির তথ্য সংযোগের ক্ষেত্রে তারা বিশেষ একটি মাইলফলক ছুঁতে পেরেছেন যা বর্তমান সময়ে অধিকাংশ ইন্টারনেটের গতির চেয়ে বেশি। যে সব অঞ্চলে ইন্টারনেট প্রয়োজন সেখানে এই ড্রোন এনে ইন্টারনেট সুবিধা দেওয়া যাবে।
ফেসবুকের গ্লোবাল প্রকৌশল ও অবকাঠামোর প্রকল্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে পারিখ এক ব্লগ পোস্টে জানিয়েছেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে নতুন ধরনের প্রযুক্তির উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করা যাতে ইন্টারনেট অবকাঠামোর বাস্তবায়নের ফলে অর্থনীতিতে দ্রুত পরিবর্তন আসতে পারে। আমার এই চ্যালেঞ্জ নিতে কয়েকটি ভিন্নধর্মী পদক্ষেপ নিয়ে এগোচ্ছি যার মধ্যে রয়েছে ড্রোন, কৃত্রিম উপগ্রহ ও মহাকাশ থেকে ইন্টারনেটের সুবিধা।
ফেসবুক প্রকৌশলীদের এই মন্তব্য শুনলে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠবে যে, ফেসবুক কী তবে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হতে যাচ্ছে? ফেসবুকের কর্মকর্তারা বলছেন, ইন্টারনেটে সেবাদাতা বা টেলিকম অপারেটর হওয়ার কোনো লক্ষ্য নেই ফেসবুকের। বরং অন্যান্য অপারেটরদের বা ফেসবুকের সহযোগীদের কাছে প্রযুক্তি সুবিধা পৌঁছে দিতেই এই লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে ফেসবুক।
পারিখ বলেন, অ্যাকুইলা ড্রোন তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। যুক্তরাজ্যের আকাশে এটি এখন পরীক্ষা করে দেখার জন্য প্রস্তুত। এই ড্রোন থেকে যে লেজার রশ্মি ফেলা হবে তা ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ইন্টারনেট সুবিধার আওতায় আনতে পারবে। এই লেজার পদ্ধতিটি ইতিমধ্যে পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে এবং তা সফল হয়েছে।
পারিখ দাবি করেন, ফেসবুকের ড্রোন প্রকল্প সফল হলে তাতে আকাশে এ ধরনের ড্রোনের একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করা যাবে এবং তা দিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট সুবিধা দেওয়া সম্ভব হবে।
এ প্রকল্পটি কার্যকর হবে এমন দাবি করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিশ্বের ১০ শতাংশের বেশি মানুষ ইন্টারনেট অবকাঠামো বঞ্চিত প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাস করছে। এসব অঞ্চলে তার টানা বা প্রচলিত পদ্ধতিতে নেটওয়ার্ক টাওয়ার স্থাপন ব্যয়বহুল।
ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ অ্যাকুইলা নিয়ে ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন যাতে অনেকে লাইক দিয়েছেন, মন্তব্য করেছেন। জাকারবার্গ লিখেছেন, তাঁর টিম প্রথম পরিপূর্ণ অ্যাকুইলা ড্রোন তৈরি করায় তিনি রোমাঞ্চিত। জাকারবার্গের এই ভিডিও পোস্ট করার পর এ নিয়ে যেমন অনেকে প্রশংসা করেছেন তেমনি অনেকে এর অপব্যবহার নিয়ে আশঙ্কার কথাও জানিয়েছেন। এই ড্রোন নজরদারিতে কিংবা কম্পিউটারে ক্ষতিকর ভাইরাস ছড়াতেও ব্যবহার হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন অনেকেই।
ফেসবুকের কানেকটিভিটি ল্যাব এই ড্রোন প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত। কানেকটিভিটি ল্যাব হচ্ছে ফেসবুক গৃহীত মানুষকে বিনা মূল্যে ইন্টারনেট সুবিধা দেওয়ার প্রকল্প ইন্টারনেট ডট ওআরজির একটি অংশ।
সূত্র: প্রথম আলো
0 comments:
Post a Comment